ঢাকায় তিন দিনের আন্তর্জাতিক উড্ডয়ন নিরাপত্তা সেমিনার শুরু
বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ও বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের যৌথ আয়োজনে তিন দিনব্যাপী সপ্তম আন্তর্জাতিক উড্ডয়ন নিরাপত্তা সেমিনার আজ সোমবার রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে শুরু হয়েছে।
নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম নাজমুল হাসান প্রধান অতিথি হিসেবে এর উদ্বোধন করেন।
আগামী বুধবার আর্ন্তজাতিক এই সেমিনার শেষ হবে বলে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল জানানো হয়েছে।
সেমিনারের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, আধুনিক প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতাকে ব্যবহার করে নিরাপদ উড্ডয়ন পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনা, উড্ডয়ন দুর্ঘটনা ঝুঁকি হ্রাস, নিরাপদ উড্ডয়নের ভূমিকা নিয়ে মতামত ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করা। সেমিনারে এবারের প্রতিপাদ্য, ‘প্রোমোটিং ফ্লাইট সেফটি বাই ইমব্র্যাসিং টেকনলোজিকাল অ্যাডভান্সমেন্টস।’
- * বাংলাদেশ ছাড়াও বাহরাইন, ইন্দোনেশিয়া, মায়ানমার, রাশিয়া, কাতার, মালদ্বীপ, চীন, কেনিয়া, পাকিস্তান, সৌদি আরব, শ্রীলংঙ্কা, যুক্তরাষ্ট্র ও জিম্বাবুয়ের বিমান বাহিনীর কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণ
- * বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ও বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের যৌথ আয়োজন
সেমিনারের প্রধান অতিথি এডমিরাল এম নাজমুল হাসান এই আন্তর্জাতিক সেমিনার আয়োজনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বন্ধুপ্রতীম বিমান বাহিনীর অংশগ্রহণকারীদের পাশাপাশি দেশের পেশাদার বিমান চালকদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
প্রযুক্তির ক্ষেত্রে বিশ্ব অসাধারণ গতি প্রত্যক্ষ করছে উল্লেখ করে তিনি আশা করেন, সেমিনারটি ক্রমবর্ধমান জটিল পরিস্থিতিতে উড্ডয়ন নিরাপত্তা বজায় রাখা ও উন্নত করার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় অবদান রাখবে।
বিভিন্ন অধিবেশনে আলোচনা কেবল অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সম্ভাবনাই অন্বেষণ করবে না, বরং নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ফলে সেগুলো কার্যকরভাবে বাস্তবায়নে সহায়তা করবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
উড্ডয়ন নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ও বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি বাহরাইন, ইন্দোনেশিয়া, মায়ানমার, রাশিয়া, কাতার, মালদ্বীপ, চীন, কেনিয়া, পাকিস্তান, সৌদি আরব, শ্রীলংঙ্কা, যুক্তরাষ্ট্র ও জিম্বাবুয়ের বিমান বাহিনীর কর্মকর্তারা সেমিনারে অংশগ্রহণ করছেন।
সেমিনারে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, পুলিশ, বর্ডার গার্ড (বিজিবি), এমআইএসটি ইত্যাদি সংস্থা বাংলাদেশে বিদ্যমান অধিকাংশ বেসরকারি এয়ারলাইন্সের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করছেন।